### পারিবারিক দুর্গা পূজার মূল রীতি:
১. **মহালয়া**: দেবীপক্ষের সূচনা হয় মহালয়ার দিন। এই দিনে তর্পণ করার মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মহালয়া থেকে দেবীর মর্ত্যে আগমন ঘটে বলে ধরা হয়।
২. **কলাবউ স্নান**: ষষ্ঠীর দিনে খুব ভোরে একটি কলা গাছকে (যা কলাবউ নামে পরিচিত) শাড়ি পরিয়ে গঙ্গা বা কোনো পবিত্র জলে স্নান করানো হয়। কলাবউকে দেবী দুর্গার স্ত্রী রূপে পূজা করা হয়।
3. **নবপত্রিকা স্থাপন**: ন'টি পাতার মধ্যে দুর্গার উপস্থিতি প্রতীকীভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এগুলোকে পুজা মণ্ডপে স্থাপন করা হয় এবং পরবর্তীতে পূজা করা হয়।
৪. **সন্ধি পূজা**: অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধি পূজা, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেবীর শক্তি ও মায়ার মিলনের প্রতীক।
৫. **কুমারী পূজা**: কিছু পরিবারের মধ্যে কুমারী পূজার প্রচলন রয়েছে, যেখানে ১ থেকে ১২ বছর বয়সী কুমারী মেয়েদের দেবীর রূপে পূজা করা হয়।
৬. **সিঁদুর খেলা**: দশমীর দিনে, প্রতিমা বিসর্জনের আগে সিঁদুর খেলা হয়, যেখানে বিবাহিত নারীরা দেবীর মূর্তিতে সিঁদুর পরিয়ে নিজেদের মধ্যে সিঁদুর আদান প্রদান করেন।
৭. **বিসর্জন**: বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে দুর্গা পূজার সমাপ্তি ঘটে। বিসর্জনের আগে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিলে একত্রিত হয়ে প্রসাদ গ্রহণ করেন।
### পারিবারিক দুর্গা পুজায় বিশেষত্ব:
- প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব পূজা পদ্ধতি ও রীতি থাকে, যা পূর্বপুরুষদের থেকে প্রাপ্ত।
- পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করার জন্য পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হন, যা পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করে।
- খাবার ও প্রসাদ তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিমা তৈরি ও বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকে।
এগুলো ছাড়াও, পারিবারিক দুর্গা পুজায় স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়, যা বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাকে জানাই ধন্যবাদ