উপরোক্ত সব কথাগুলোই কখনও বা কখনও আমরা শুনে থাকি ,বলে থাকি।।কেউ জেনে বুঝে বলি ,আবার কেউ না বুঝেই বলি।।
বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ,বাবা জয়গুরুদেব,আদিত্যনাথ বাবা, দলাই লামা,তারা ক্ষ্যাপা,যোগীবর বরদা চরণ মজুমদার প্রভৃতি মহাপুরুষ সময়ে সময়ে বিভিন্ন আলোচনা, সৎসঙ্গ ইত্যাদির মাধ্যমে কথাগুলো বলে যেতেন।।
বিগত প্রায় 25 বছর ধরে এক মিডিয়া চ্যানেল এর মাধ্যমেও এই তথ্যগুলি সব প্রকাশ পেতে থাকে।। যদিও সময় ও পরিস্থিতির আকাশ জমির ফারাক থাকায়, আজকের বর্তমান পরিস্থিতির অনুভূতি সেই সময় করা সম্ভবও নয়।।
যুদ্ধ শুরু হল।।আর্মেনিয়া /আজারবাইজান,চীন / তাইওয়ান, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি, শ্রীলঙ্কা বিধ্বস্ত,রাশিয়া/ইউক্রেনের বিধ্বংসী যুদ্ধ,পাকিস্থান খাদ্যসংকট ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বিধ্বস্ত,আফগানিস্তানে তালিবান শাসন,মনিপুর জ্বলছে,ইসরাইল/ইরান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে।।
এটাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।।
একদিনে বা হঠাৎ করে কিন্তু শুরু হয়ে যায় নি এই যুদ্ধ।।ধীরে ধীরে তিল তিল করে গড়ে উঠেছে এই পরিস্থিতি।।
এর সূত্রপাত হয়েছিল অনেক অনেক বছর আগে থেকেই।
আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর ঘটনার পর,আমেরিকার দাদাগিরির চূড়ান্ত রূপ দেখে বিশ্ববাসী।।
ইসলামিক বেশ কিছু দেশকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেয় আমেরিকা।। সূত্রপাত এখান থেকেই।।
এবার চীন নাক গলাতে শুরু করল।।অত্যাচারিত/অবহেলিত দেশগুলিকে ফান্ডিং করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করল চীন।সামরিক শক্তির মাপদন্ডে বিচার না করলে চীনের সঙ্গে সবাই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলতে চায় বা বলা যায় চীনকে কেউই চটাতে চায় না।।
উত্তর কোরিয়ার কিম জংও ময়দানে নামলো।। বেশ কিছু বছর এই কিম সাংঘাতিক ধ্বংসাত্মক কিছু কার্যকলাপে রত থেকে আবার যেন চুপচাপ হয়ে গেল।।
সিনারিও বদলাতে শুরু করল।।শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে নিল। রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা উত্তপ্ত জনতার রোষে পড়ে রাস্তায় রাস্তায় বিবস্ত্র অবস্থায় মার খেতে থাকল।।
সেই অবস্থা চলা কালীন আবার জানা গেল,নেপালে চাইনিজ কারেন্সি চলা শুরু হয়ে গেছে।।
তারমানে এটাই বোঝা গেল যে,প্রতিটা ঘটনা প্রতিটার সাথে রিলেটেড।।
আর্মেনিয়া আজারবাইজান জড়িয়ে পড়ল ভীষণ যুদ্ধে।।মৃত্যুসংখ্যা বিভীষিকা তৈরি করে দিল।।
ধীরে ধীরে জেনারেশন অনুভব করতে শুরু করল যুদ্ধের ভয়াবহতা।।এভাবেই আগুন রাশিয়া ইউক্রেন,চীন তাইওয়ান,ইসরাইল ইরান প্রভৃতিতে ছড়িয়ে পড়ল।।।
ভারতের অবস্থান এই পরিস্থিতেও রহস্যজনক।। মিত্রশক্তি অক্ষশক্তির শিবির ভাগ হয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু এখনো ভারত সরাসরি কোন বিবৃতি দেয়নি।। ভারতের সমর্থন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দুপক্ষের কাছেই।।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুতিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেমন সর্বজনবিদিত ,আবার তেমনই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন/আমেরিকা যাওয়া কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে।।
কিন্তু গত দুদিন আগে হয়ে যাওয়া ব্রিকস সম্মেলনে এক ঐতিহাসিক পটপরিবর্তন ঘটে গেল।।
চীন রাশিয়া ভারত ,এই তিন দেশ যারা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দেশ।এই তিন দেশের সম্পর্কও কয়েক শতক ধরে টক ঝাল মিষ্টি সম্পর্কের মত।
কিন্তু বিপদে ,কেউ কাউকে সাহায্য করতে পিছপা হয় নি।।
এই তিন দেশ আবার একসাথে হাত মিলিয়ে ব্রিকস কে শক্তিশালী ইউনিয়ন বানাতে বদ্ধপরিকর হলো।
ডলারের আধিপত্য কমিয়ে ফেলে ,নতুন কারেন্সির মাধ্যমে ভ্যালু ওয়াইজ ব্রিকস দেশগুলিতে ব্যবসা ও আদানপ্রদান শুরু করার কথাও ঘোষণা করল ব্রিকস ।।আবার আরেকদিকে ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হয়ে সরাসরি বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল ব্রিকস।।
তবে ভারতের ভূমিকা নিয়ে আবার বলতে হয় যে,
ভারত এখনও যে স্ট্যান্ড নিয়ে ,পক্ষ বা বিপক্ষের কারোর দিকেই অফিসিয়ালি বা ইন্ডিভিজুয়ালি যায় নি,এটা অবশ্যই যুদ্ধে একটা অন্য রূপ দেবে।।
'আমাকে খুঁজতে যেও না!! সারাবিশ্বে ক্ষেত্র প্রস্তুত এর যে কাজ চলছে যদি অল্প ও আমার বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকো বুঝতে পারবে যে এটা কার মস্তিষ্কপ্রসূত।'
আশা করি বলে দিতে হবে না যে,ওপরের কথাটি কার!!তবে এটা অনেক আগের কথা।।
প্রস্তুতির পর্ব শেষ।।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাকে জানাই ধন্যবাদ