সরকার চিটফান্ডের টাকা ফেরত দিচ্ছে এই খবর জানার পর আপনিও
নিশ্চয়ই আপনার চিটফান্ড কম্পানির গচ্ছিত দস্তাবেজ জমা করেছিলেন অনলাইনে, মাননীয় বিচারপতি শৈলেন্দ্র
প্রসাদ তালুকদারের ওয়েব পোর্টালে।এই পোর্টালটি টাকা ফেরতের জন্যই কলকাতা হাইকোর্ট
অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু পোর্টালটিতে ধরা পড়লো খামতি।
মাননীয় বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বে 'ওয়ান ম্যান
কমিটি' 01.02.2016 তারিখে কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এমপিএস
গ্রুপ অব কোম্পানিজ সংক্রান্ত বিষয়গুলো এই কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত
এমপিএস গ্রুপ অফ কোম্পানির উপলব্ধ স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত তালিকা
তৈরি করা হয়েছিল। SEBI-এর সহায়তায়, কমিটি এমপিএস গ্রুপ অফ কোম্পানির
কিছু সম্পত্তির প্রকাশ্য নিলাম পরিচালনা করে।
পরবর্তীকালে, গ্রেটার ক্যালকাটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, টাওয়ার গ্রুপ অফ কোম্পানিজ আই. কোর গ্রুপ অফ কোম্পানী প্রয়াগ গ্রুপ অফ
কোম্পানী, বিবগ্যর গ্রুপ অফ কোম্পানী ইত্যাদি সহ আরও অনেক চিট
ফান্ড সংস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলি মাননীয় হাই কর্তৃক কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তীতে সাধারন মানুষের টাকা ফেরত দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে মাননীয়
বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বের এই পোর্টালটি। ব্যাশ সেদিন থেকে
ধরা পড়লো এই পোর্টালের গাফিলতি।
টাকা ইতিমধ্যেই আপনারা হয়তো অনেকেই ফেরত পেয়েছেন, কিন্তু আপনাদের জানা নেই টাকা
নেওয়ার জন্য আপনাদের জমা করা ব্যাক্তিগত গোপন তথ্য এখন সাইবারক্রাইম অপরাধীদের
হাতে পৌছেও গিয়েছে বা পৌছাতে পারে যদি না এর জন্য কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।কি ভাবে
আপনাদের ব্যাক্তিগত তথ্য জেনে যেতে পারে অপরাধীরা তা জানুন-
১। আপনারা এই পোর্টালে আবেদন সম্পূর্ন করার পর আপনাদের একটি লিঙ্ক সহ আপনার
আবেদন পত্রটি শেয়ার করা হয়েছিল যা আপনারা প্রিন্ট করে রেখেছেন।যে লিঙ্ক সমেত আপনি
ব্যাতিত অন্য কেউ জানতো না।
২। পরবর্তীতে সমগ্র অর্থ প্রাপকের তালিকা প্রকাশ করা হল এই পোর্টালের মাধ্যমে
যা দেখা যাচ্ছে পোর্টালটির ডানদিকের কোনায়
News
Notices বিভাগে। এই News Notices টি ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পাবেনবিভিন্ন চিটফান্ড
কোম্পানির নাম। এর পর টাকা ফেরতের নোটিসটির
পাশেই যে pdf টি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেটি করলেই হাজার হাজার লোকের নাম দেখতে পাওয়া
যাচ্ছে যারা চিটফান্ডে গচ্ছিত অর্থ ফেরত পেয়েছে।
৩।
যিনি অর্থ ফেরত পেয়েছেন তার নামের পাশে লেখা একটি Investor’s ID No দেখতে পাওয়া যাবে ,আর সেটা যদি আপনি
,যেখান থেকে টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন সেখানে গিয়ে পুনরায় লেখেন তাহলে খুব
সহজেই সেই ব্যাক্তির জমা দেওয়া গোপন তথ্য দেখতে পাওয়া যাবে যা আপনাকে বিপদের মুখে
ফেলে দিতে পারে আপনাকে।ব্যাংক এর তথ্য,আপনার আধার কার্ড নং,ফোন নং,আপনার বাড়ির
ঠিকানা,আপনার বাবা বা স্বামীর নাম।
এত কিছু জানার পর সাইবারক্রাইম অপরাধীদের আপনার ব্যাঙ্ক ফাকা করতে বেশি সময়
লাগবে বলে মনে হয় না।তাই এই ঘটনা জানার পর থেকেই সাধারন মানুষের মনে উদ্বগ দেখা
দিয়েছে। যেখানে সরকার নিজেই ব্যাক্তিগত তথ্য কাউকে না দেওয়ার জন্য প্রচার করছে
সেখানে এই ঘটনায় মানুষ আজ অসহায় অবস্থা।কি ভাবে এই পোর্টালটি চলছে যেখানে সাধারন
মানুষের গোপন তথ্য আজ প্রকাশ্যে।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনাকে জানাই ধন্যবাদ